নোয়াখালীতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ডোবায় মরদেহ ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। পুলিশের ধারণা, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা হত্যা করেছে।

গতকাল শুক্রবার রাতে চৌমুহনী পৌরসভার পার্শ্ববর্তী শরীফপুর ও হাজীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সারেং বাড়ি সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে আব্দুল কাদেরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে কান কাটা কাদিরা (৪২) চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুরের মো.গোফরানের ছেলে।

নিহতের বড় ভাই মো. হারুনুর রশিদ অভিযোগ করে বলেন, শ্যালিকার বিয়ে নিয়ে কিছু দিন আগে শ্যালকের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় কাদেরের। এরপর গতকাল রাতে শ্বশুর বাড়ির সামনে থেকে ১০ থেকে ১২ জন সন্ত্রাসী তাকে তুলে দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।

হারুনুর রশিদের দাবি, এ সময় ওই বাড়ির সামনে দোকানে বসা লোকজন সন্ত্রাসীদের দেখেছে। তাদেরকে জিজ্ঞাবাদ করলে হত্যকারীদের পরিচয় বেরিয়ে আসবে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, নিহত আব্দুল কাদের জিলানীর বিরুদ্ধে মাদক ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে থানায় চারটি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকায় তার সাথে পরিবারের কারো ভালো সস্পর্ক ছিল না। তার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যান। মা নানার বাড়িতে থাকেন। কাদের সাত মাস আগে সে বিয়ে করে কিছুদিন শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। পরে তাদের সাথেও সম্পর্কের অবনতি হলে বাইরে বাইরে থাকতেন।

ওসি বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ধারণা করা হচ্ছে–প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি।




Next Post Previous Post