যতক্ষণ বেঁচে থাকব, দেশবাসীকে ছেড়ে যাবো না
অকৃত্রিম ভালোবাসায় জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হয়ে উঠা খালেদা জিয়াকে শেষ বিদায় জানাল লাখ লাখ মানুষ।অসীম অনন্ত লোকে পাড়ি জমানোর সময় কোটি মানুষের ভালোবাসা সঙ্গী করে নিয়ে গেলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকাল ৩টা ৩ মিনিটে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর পশ্চিম প্রান্তে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকারর জাতীয় মসজিদের খতিব মাওলানা আবদুল মালেক।
খালেদা জিয়ার জানাজাকে কেন্দ্র করে শোকাবহ পরিবেশ তৈরি হয়েছে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও বিজয় সরণি এলাকায়। জায়ান্ট স্ক্রিনে ভেসে উঠছে তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ।
তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সংগ্রামী জীবন, গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলন এবং দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে তার ভূমিকার নানা মুহূর্ত বড় পর্দায় তুলে ধরে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরের আগ থেকেই বিজয় সরণি সংলগ্ন এলাকা থেকে জানাজাস্থল ও আশপাশের এলাকায় স্থাপিত একাধিক জায়ান্ট স্ক্রিনে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক জীবনের গুরুত্বপূর্ণ ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
প্রিয় নেত্রীর এসব বক্তব্য শুনে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়তে দেখা গেছে। কেউ কেউ কান্নায় ভেঙে পড়ছেন, আবার কেউ নীরবে দাঁড়িয়ে শুনছেন প্রিয় নেত্রীর কণ্ঠ।
মাইকে প্রচারিত বক্তব্যগুলোর মধ্যে রয়েছে— ‘দেশের বাইরে আমার কোনো ঠিকানা নেই, এই দেশ, দেশের মাটি-মানুষ আমার সবকিছু। কাজেই আমি দেশের বাইরে যাবো না। ’
‘আমি যতক্ষণ বেঁচে থাকবো, দেশবাসীকে ছেড়ে যাবো না।’—এই লাইন শুনেই অনেককে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
খালেদা জিয়ার প্রচারিত বক্তব্যের মধ্যে আরও রয়েছে, ‘আমরা সকলকে বন্ধু হিসেবে দেখতে চাই। তবে, কেউ যদি বন্ধু বেশে প্রভু হতে চায়, সেটা আমরা মেনে নেবো না। আমরা স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যুদ্ধ করেছি। এখন যদি দেশকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করা লাগে, আমরা করবো।’
‘দেশ বিক্রি চলবে না হাসিনার। দেশ রক্ষা করতে হবে ইনশাআল্লাহ।’
‘আমি যেমন থাকি, যেখানেই থাকি— কিন্তু দেশবাসীকে ছেড়ে যাবো না। দেশবাসীর কাছে আমার আবেদন, আপনারা আমাকে আলাদা করে দেবেন না।
